৳ ৪৮০ ৳ ৪০৮
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
১০% নিশ্চিত ছাড় এবং ডেলিভারি একদম ফ্রি !! মাত্র ১০০০ বা তার বেশি টাকার পাঠ্যবই ও অনুশীলনমূলক বই -এর জন্য প্রযোজ্য। কুপন কোড: ACADEMIC ব্যবহার করলেই
একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি। কুপন কোড: KHATA
মোঃ মাহবুবুল হাসান শান্ত এর বইয়ের ভূমিকা লেখার ভার যখন আমাকে দেওয়া হলো তখন আমি বেশ অবাক হই, কিন্তু বইয়ের কনটেন্ট এর ব্যাপ্তি দেখে আরো অনেক বেশি অবাক হই। শান্তর বইয়ে UVa আর্কাইভ এর অনেক প্রবলেম ব্যবহার হয়েছে দেখে ভালো লাগলো, কারণ এটা হয়তো UVa সাইটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে। সেজন্য বইটির ইংরেজি অনুবাদেরও অপেক্ষায় থাকলাম।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আমার দেখা সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক মনে হয় মনিরুল হাসান (তমাল)। কিন্তু আরেকটু তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যদি খুঁজে দেখি তাহলে দুটো নামই মাথায়ে আসে- মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান এবং মোঃ মাহবুবুল হাসান শান্ত। মোটামুটি ভালো শিক্ষক হলেই যে সবসময় ভালো লেখক হয়না সেটা নিজেকে দিয়েই বুঝি কিন্তু শান্ত তার বুঝানোর ক্ষমতাকে বই এর মধ্যে আনতে পেরেছে ভালোভাবেই তাই এই বইটি তরুণ প্রজন্মের জন্য অনেক উপকারী হবে সন্দেহ নেই। আজকে কেবলই মনে হচ্ছে কেন আমার বয়স আরো বিশ বছর কম হলো না, তাহলে এই বই দেখে আরো ভালোভাবে সবকিছু অনেক কম বয়সে শিখে ফেলতে পারতাম।
শান্তর প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ক্যারিয়ার অনেক দীর্ঘ। তবে তাকে প্রথম ভালো ভাবে চিনি যখন “Dhaka Regional ২০০৫” এ শান্ত ও নাফি এর IOI গামী দল বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান দখল করে। “Lattice triangle” গণনার একটি সমস্যা সমাধান করে তারা সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। সৌভাগ্যক্রমে সেই প্রবলেমের স্রষ্টা ছিলাম আমি। ভিসা জটিলতার কারণে তাদের IOI এ অংশগ্রহন করা হয় নাই, নাহলে বাংলাদেশের IOI পদক অনেক আগেই আসতে পারত। শান্ত সম্ভবত এখনো নানান কনটেস্টে অংশগ্রহন করে, তাই তার চেয়ে দীর্ঘ কনটেস্ট ক্যারিয়ার খুব কম লোকেরই আছে। তার উপর শান্তর রয়েছে সমস্যার সমাধান করার সীমাহীন উৎসাহ ও ধৈর্য। জনশ্রুতি রয়েছে যে শান্ত তার বিয়ের দিনও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেছে। কাজেই এত দীর্ঘ ক্যারিয়ার ও সময়ে শান্ত কী পরিমান সমস্যা সমাধান করেছে তা আন্দাজ করাও অনেকের পক্ষে কঠিন হবে। এই বইয়ে তাই নানা ধরনের সমস্যা সমাধান এর কথা উঠে এসেছে। বাংলা ভাষায় এমন বই আগে প্রকাশিত হয়নি এমনকি ইংরেজিতে অনুদিত হলেও এই বই যথেষ্ট সমাদৃত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
সাধারণত দেশের বাইরে গিয়ে লোকজন প্রোগ্রামিং কনটেস্ট এবং প্রবলেমসেটিং কে ভুলে যায়, কিন্তু শান্ত এই দিক থেকে ব্যতিক্রম। এই বইয়ের পাঠক সংখ্যা কয়েক মিলিয়ন হলেই সেই ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টা সফল হবে। সেইসব মিলিয়ন প্রোগ্রামার বাংলাদেশকে অনেক সম্মানিত করবে। মনে রাখতে হবে যে পোশাক ও শ্রমিক রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হলেও সম্মনের জন্য প্রয়োজন একটু সৃজনশীল কিছু। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও রোবটের উত্থানের যুগে, প্রোগ্রামিং ছাড়া অন্য কিছুতে মানুষের প্রয়োজন থাকবে কিনা সেটাও ভাবা দরকার।
Title | : | প্রোগ্রামিং কনটেস্ট: ডেটা স্ট্রাকচার ও অ্যালগরিদম |
Author | : | মো. মাহবুবুল হাসান |
Publisher | : | দ্বিমিক প্রকাশনী |
ISBN | : | 9789849216414 |
Edition | : | 20th Print, 2024 |
Number of Pages | : | 276 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
মোঃ মাহবুবুল হাসান (শান্ত)-এর জন্ম ১৯৮৬ সালে। তিনি রাজশাহীর অগ্রণী বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। ২০০৩ সালের প্রথম জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডে একশোতে একশো পেয়ে সেকেন্ডারি ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। ২০০৫ সালের বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডগামী প্রথম দলের সদস্য ছিলেন। এছাড়াও ২০০৫ সালের আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডগামী প্রথম দলের সদস্যও ছিলেন, যদিও ভিসা জটিলতার কারণে সেবার বাংলাদেশের অংশগ্রহণ করা হয়ে ওঠেনি। কলেজ পড়ুয়াদের আইওআইগামী সেই দলটি ২০০৫ সালের ঢাকা সাইটের আইসিপিসিতে বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের দলকে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে, প্রথম হয় চীনের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়। বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াকালীন হাতে গোনা তিন-চারটি কনটেস্ট বাদে বাকি প্রায় ত্রিশটির মতো কনটেস্টে তাঁদের দল চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০০৮ ও ২০০৯ সালের এসিএম আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালসে তাঁদের দল অংশগ্রহণ করে যথাক্রমে ৩১তম এবং ৩৪তম স্থান অর্জন করে। এছাড়াও প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি টপকোডার এবং কোডফোর্সেস উভয়ের রেড কোডার হন। বুয়েটের পড়াশোনার পাট চুকিয়ে আড়াই বছর বুয়েটে শিক্ষকতা করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি এসময়ে তিনি বুয়েট এবং আইওআই-এর ছেলেমেয়েদের প্রোগ্রামিংয়ের প্রশিক্ষণ দেন। ২০১১ ও ২০১৩ সালে আইওআই দলের দলনেতা হিসেবে ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি গুগলের সুইজারল্যান্ড অফিসে কর্মরত আছেন।
If you found any incorrect information please report us