৳ ৫০০ ৳ ৩৫০
|
৩০% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
সুযোগ পেলেই ভারত ভ্রমণে যাওয়া আমার অন্যতম প্রিয় বিষয় ছিল। বিশেষ করে ভারতের যে-কোনো নতুন জায়গায় যাওয়ার সুযোগ পেলেই আমি সেটা লুফে নিতাম। সে মাত্র দুই দিনের জন্য হলেও। এক্ষেত্রে অফিস বা বাসা কাউকেই আমি পরোয়া করতাম না! কিন্তু একবার আমাকে অফিস থেকে ভারতে যাওয়ার ছাড়পত্র না দেয়াটা আমাকে ভীষণ হতাশ করল! এতটাই হতাশ করল যে আমি আর দীর্ঘদিন ভারতে না গিয়ে নিজের প্রিয় দুই চাকাতেই পুরো দেশ দেখব বলে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম। কারণ,আমাকে তো দেশ দেখার জন্য আর ছাড়পত্র নিতে হবে না! আর এই পুরো দেশের আনাচে-কানাচে দেখাটাই যে এখন পর্যন্ত যে-কোনো ভ্রমণের চেয়ে আমার কাছে প্রিয় হয়ে যাবে সে শুরুর আগে কল্পনাও করিনি। এভাবেই দু চাকায় দেশ দেখার অভিযানটা শুরু হয়েছিল,অফিস এবং বাসা ঠিক রেখে,এক সপ্তাহ বাদ দিয়ে দিয়ে,সবকিছু ঠিক রেখে,সময় আর সুযোগ পেলেই। যে কারণে,এক বর্ষায় শুরু করা দেশ দেখার অভিযান আরেক বসন্তে এসে শেষ হয়েছে। পুরো ৯ মাস,২৩ সপ্তাহ লেগেছে। এই দীর্ঘ সময় নিয়ে,একজন সত্যিকারের ছা-পোষা কোরানি হয়েও যে মন থেকে চাইলে,অদম্য অধ্যবসায় থাকলে নিজের জন্য সময় বের করে,নিজের স্বপ্ন পূরণ করা যায়,সেটাই এই অভিযানে প্রমাণ করতে পেরেছি। সুতরাং যারা নিজের স্বপ্ন পূরণে নানারকম প্রতিবন্ধকতার মুখে এসে পিছিয়ে যান,তাদের জন্য এই অভিযানের গল্পগুলো অনুপ্রেরণা হতে পারে!
Title | : | দু'চাকায় দেখতে দেশ |
Author | : | সজল জাহিদ |
Publisher | : | নটিলাস প্রকাশনী |
ISBN | : | 9789849859260 |
Edition | : | 1st Published, 2024 |
Number of Pages | : | 208 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
নিজেকে সংক্ষেপে সজল জাহিদ নিজেরই নাম, তবে লেখালেখির জন্য। সকল সনদে যেটা মোঃ জাহিদুল ইসলাম। জন্ম পাবনা জেলার পদ্মার তীর ঘেঁষা আর হার্ডিং ব্রিজের ঝমঝমে শব্দে মুখরিত পাকশীতে ১৯৮২ সালের ৮ মার্চ। বেড়ে ওঠা দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুরে। আবেগ, অনুভূতি, ইচ্ছা-অনিচ্ছা আর চাওয়া-পাওয়ার বোধগুলো সেখানেই অঙ্কুরিত। স্কুল-কলেজ কোন রকমে পেরিয়ে, ২০০১ সালে ভর্তি হওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে। এখানে একটু উল্ল্যেখ না করলেই নয় যে, ছাত্র ছিলাম লোক প্রশাসন বিভাগের, কিন্তু আমাকে খুঁজে পেতে হলে যেতে হত অর্থনীতি বিভাগে! রবীন্দ্র ভবন ছাড়িয়ে মমতাজউদ্দিন কলা ভবনে! কেন? এই কৌতূহল টুকু না হয় রেখেই দেই? ২০০৬ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে, সবার যেখানে জীবিকার ঠিকানা, সেই জনাকীর্ণ ঢাকা শহরের অসম্ভব বাস্তবতায় এসে মুখ থুবড়ে পরা। জীবনের সহস্র সংঘাত মাড়িয়ে, জীবনকে কোন রকমে ঠেলেঠুলে চালিয়ে নেয়া। এরপর চাকুরী নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ ভাবনায় মানব সম্পদে একটি এমবিএ ডিগ্রী নেয়া। উচ্চতর ডিগ্রীর শেষ পরীক্ষার দিন থেকেই লেখালেখির শুরু যেটা ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫। তবে সেটা একেবারেই শখের বসে, কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু অবসরে। কিন্তু সেটা যে নেশা আর নেশা থেকে নিশ্বাসের মত হয়ে যাবে ভাবিনি। এই হলাম আমি। ও হ্যাঁ একটা কথা বলা হয়নি কিন্তু, আমার বাবার বাড়ি। আর সেই সুত্রে আমার বাড়ি কিন্তু পিরোজপুরে...!
If you found any incorrect information please report us