এন ইন্ট্রোডাকশন টু ইসলামিক ফাইন্যান্স (হার্ডকভার)
এন ইন্ট্রোডাকশন টু ইসলামিক ফাইন্যান্স (হার্ডকভার)
৳ ৩০০   ৳ ২৫৫
১৫% ছাড়
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

একাডেমিক বইয়ে ১০% পর্যন্ত  ছাড়

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

ভুমিকাঃ বিগত কয়েক দশক ধরে একটি মুসলিম জনগোষ্ঠী তাঁদের জীবনকে ইসলামি মূলনীতির আলোকে বিনির্মাণের প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। তারা এটা অনুধাবন করতে পেরেছে যে, পশ্চিমারা রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক আগ্রাসনের মাধ্যমে তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করে আসছে। যার ফলে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতা লাভের আশায় মুসলিমগণ তাদের জীবনকে ইসলামি শিক্ষার আলোকে গড়ে তুলতে, নিজেদেরকে ইসলামের আলোকে পুনরুজ্জীবিত করবার চেষ্টায় নেমেছে।
বিশেষত, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালনার লক্ষ্যে সেগুলোকে সংস্কার করছে। যদিও এটি মুসলমানদের জন্য অতান্ত দুরূহ কাজ। সারাবিশ্বের অর্থব্যবস্থা যখন সুদের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
এই অর্থব্যবস্থায় যেসব লোক শরিয়তের মূলনীতি, আদর্শ এবং অর্থনৈতিক দর্শন সম্পর্কে পুরোপুরি জানেন না, তারা মনে করছে যে-ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সুদমুক্ত করলে উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থাকবে না বরং সেগুলো সমাজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়ে যাবে। যার উদ্দেশ্য হবে বিনা লাভে আর্থিক সেবা প্রদান করা।
প্রকৃতপক্ষে এ ধারণাটি ভুল। শরিয়তের দৃষ্টিতে সুদবিহীন ঋণ একটি নির্দিষ্ট পরিমন্ডলের জন্য। ব্যাপকভাবে ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য নয়। বরং তা পারস্পারিক সহযোগিতা এবং কল্যাণমুখী কর্মকালের জন্য হয়ে থাকে। যেখানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পুঁজি সরবরাহের প্রশ্ন জড়িত, সেখানে ইসলামি শরিয়তের নিজস্ব একটি দিক নির্দেশনা বা নীতিমালা রয়েছে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী, যে ব্যক্তি অপরকে ঋণ প্রদান করছেন তাকে প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তিনি কি এই ঋণের অর্থ দ্বারা উনুনের্টায় পক্ষকে সাহায্য করতে চান? না-কি তার মুনাফায় অংশীদার হতে চান? যদি তিনি এ ঋণের অর্থ প্রদানের মাধ্যমে অণগ্রহীতাকে কেবল সাহায্য করতে চান তাহলে ঋণগ্রহীতার নিকট থেকে পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করতে পারবেন না। কিন্তু তার মূল পুঁজি নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকবে (অর্থাৎ দ্বিতীয় পক্ষের ক্ষতি ব্যন্যে ক্ষয়ান হলেও ঋণদাতার পুঁজি ফেরত পাওয়ার অধিকার সংরক্ষিত থাকবে)। এখানে তিনি মূল পুঁজির অতিরিক্ত কোনো মুনাফার দাবি করতে পারবেন না। আবার যদি-এই উদ্দেশ্যে পুঁজি সরবরাহ করেন যে, তার ব্যবসায় অর্জিত মুনাফায় অংশ ভাগাভাগি করবেন এমতাবস্থায় তিনি অর্জিত মুনাফায় পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আনুপাতিক হারে মুনাফা দাবি করতে পারবেন। তবে, এক্ষেত্রে যদি লোকসান হয় তাহলে তাকে উক্ত লোকসানের দায়ও বহন করতে হবে।
অর্থাৎ এখানে বলা হয়েছে, পুঁজির যোগানদাতা কোনো মুনাফা অর্জন করতে পারবে না। বরং যদি ব্যবসার উদ্দেশ্যে পুঁজির যোগান দেওয়া হয়, তাহলে লাভ লোকসানে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এ লক্ষ্য অর্জন করা যেতে পারে। আর সেজন্যই ইসলামি আইনের শুরুতেই মুশারাকা এবং মুদারাবা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও সকল ক্ষেত্রে মুশারাকা এবং মুদারাবা পদ্ধতিতে অর্থায়ন করা যায় না। যেসব লক্ষ্যে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়, সেগুলো হলো-মুরাবাহা, ইজারা, সালাম এবং ইসতিসনা'।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ইসলামি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে অর্থায়নের ইসলামি পদ্ধতিসমূহ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যদিও তা পরিপূর্ণ বলা যাবে না। কারণ ইসলামি অর্থায়নে পদ্ধতিসমূহের মধ্যে রয়েছে নিজস্ব মূলনীতি এবং দর্শন। যেগুলো ব্যতীত শরিয়তের দৃষ্টিতে অর্থায়নটি বৈধ নয়। যদিও এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বর্তমান সময়ের অনেক আলেমগণের মধ্যে এই পদ্ধতিসমূহ সম্পর্কে মৌলিক ধারণার অভাব রয়েছে। তাদের এই অজ্ঞতার ধরুন ইসলামি অর্থায়নকে সুদভিত্তিক প্রচলিত অর্থায়নের সাথে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ইসলামি ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজারি বোর্ডের সদস্য বা চেয়ারম্যান হওয়ার দরুণ, আমার নিকট তাদের কর্মপদ্ধতি যথেষ্ট দুর্বল মনে হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা যায়, শরিয়ত সম্পর্কিত মূলনীতি ও নিয়ম কানুন সম্পর্কে সম্যক ধারণার অভাব। যার ফলে, আমার এই গ্রন্থটি রচনা করা। ইসলামি অর্থায়নের

Title : এন ইন্ট্রোডাকশন টু ইসলামিক ফাইন্যান্স
Author : শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মাদ তাকী উসমানী
Translator : শরীফ নাফে আচ্ছাবের
Publisher : মনন প্রকাশ
ISBN : 9789849093817
Edition : 1st Published, 2025
Number of Pages : 144
Country : Bangladesh
Language : Bengali

প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী শুধু ইসলামের নানা বিষয় নিয়ে বই রচনা করেননি, তিনি একাধারে ইসলামি ফিকহ, হাদীস, তাসাউফ ও ইসলামি অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ। আর তা-ই নয়, তিনি একজন বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শরীয়াহ আদালতে, এমনকি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের শরীয়াহ আপিল বেঞ্চেরও বিচারক পদে আসীন ছিলেন। মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দে ১৯৪৩ সালের ৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তান দুটি আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হলে তার পরিবার পাকিস্তানে চলে আসে এবং এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। শিক্ষাজীবনে তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে ইসলামি নানা বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়েও শিক্ষা নিয়েছেন। তিনি করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন, যেখান থেকে অর্থনীতি, আইনশাস্ত্র ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ডিগ্রি অর্জন করেন। আর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভ করেছেন আরবি ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ. ডিগ্রি। দারুল উলুম করাচি থেকে পিএইচডি সমমানের ডিগ্রি অর্জন করেছেন ইসলামি ফিকহ ও ফতোয়ার উপর। সর্বোচ্চ স্তরের দাওয়া হাদিসের শিক্ষাও তিনি একই প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহণ করেন। বিচারকের দায়িত্ব পালন ছাড়াও বিভিন্ন ইসলামি বিষয়, যেমন- ফিকহ, ইসলামি অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আন্তর্জাতিক ফিকহ একাডেমির স্থায়ী সদস্যপদ রয়েছে তাঁর। পাকিস্তানে 'মিজান ব্যাংক' নামক ইসলামি ব্যাংকিং সিস্টেম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পাকিস্তানে ইসলামি অর্থনীতির প্রসারে তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি রচনা করেছেন অসংখ্য বইও। তকী উসমানীর বই এর সংখ্যা ৬০ এর অধিক। শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী এর বই সমূহ রচিত হয়েছে ইংরেজি, আরবি ও উর্দু ভাষায়। শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী এর বই সমগ্র এর মধ্যে 'Easy Good Deeds', 'Spiritual Discourses', 'What is Christianity?', 'Radiant Prayers' ইত্যাদি ইংরেজি বই, ও 'তাবসেরে', 'দুনিয়া মেরে আগে', 'আসান নেকিয়া' ইত্যাদি উর্দু বই উল্লেখযোগ্য। এসকল বই ইসলাম প্রসারে, এবং বিভিন্ন ইসলামি ব্যাখ্যা প্রদান ও আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]