
৳ ৬৫০ ৳ ৫৫৩
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
একাডেমিক বইয়ে ১০% পর্যন্ত ছাড়





সৃষ্টিগতভাবে শিল্পকলা ও সংস্কৃতির প্রতি মানুষের সহজাত আকর্ষণ রয়েছে। মানুষের সে আকর্ষণকে সত্য ও সুন্দরের পথে পরিচালনা করাই ইসলামি শিল্পকলা ও সংস্কৃ তির অন্যতম লক্ষ্য। এ জন্য ইসলামি জীবন দর্শনে শিল্পকলা ও মানবিক সংস্কৃ তির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিল্প-সাহিত্যো ও সুকোমার মনোবৃত্তি পরিচর্যায় রয়েছে ইসলামের বিরাট ঐতিহ্য। ইসলামি ক্যালিগ্রাফি সে ঐতিহ্যের একটি অন্যতম নিদর্শন। মহান আল্লাহ ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আমাদেরকে সত্যনির্ভর ও অর্থবহ সংস্কৃতিচর্চার যে নির্দেশনা দিয়েছেন, ইসলামি ক্যালিগ্রাফি তারই একটি সুন্দর উদাহরণ। সৌন্দর্যচর্চা ও শৌখিনতার প্রতীক হিসেবে ক্যালিগ্রাফির কদর বিশ্বময় স্বীকৃত। অনিন্দ্য সুন্দর এ ক্যালিগ্রাফি কালপরিক্রমায় সমৃদ্ধির পথ বেয়ে মর্যাদার উচ্চ আসনে সমাসীন। ক্যালিগ্রাফি ইসলামি শিল্পকলার অত্যন্ত শক্তিশালী মাধ্যম। এ মাধ্যম ছাড়া ইসলামি শিল্পকলার কথা কল্পনাই করা যায় না। মধ্যযুগে কুরআনের বাণী দিয়ে ইসলামি ক্যালিগ্রাফি শুরু হলেও পরবর্তীকালে বিভিন্ন যুগে মসজিদগাত্রে, মিনারে, মিহরাবে ও গম্বুজের গায়ে এর সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। দশম ও একাদশ শতাব্দীতে পারস্য অঞ্চলে মৃৎপাত্রসমূহে এক ধরনের উন্নত শৈলীযুক্ত ক্যালিগ্রাফির ব্যবহার দেখা যায়। এভাবে ইসলামি ক্যালিগ্রাফির পরিধি ও বিষয়বস্তু বিস্তৃতি লাভ করে। আরবি বা সমগোত্রীয় ভাষার বর্ণমালায় তৈরিকৃত এ শিল্পকলার বিষয়বস্তু হিসেবে আল কুরআনের বাণী, হাদিসের বাণী, আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহ, ইসলামের পবিত্র কালিমা, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রেরিত দরূদ, তাঁর নাম ও উপাধিসমূহ, দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় দোয়া ও জিকির, জ্ঞানীদের মূল্যবান বাণী, প্রাচীন প্রবাদ ও মেসাল, ইসলামি কবিদের কবিতার চরণ ও অন্যান্য কল্যাণময় বিষয়াবলিকে ভিত্তি করে ইসলামি ক্যালিগ্রাফি তৈরি হয়। আধুনিককালে প্রযুক্তির কল্যাণে এ শিল্পের আরো ব্যাপক উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। অপরদিকে বৈশ্বিক সংস্কৃতির প্রবল তরঙ্গাঘাতে ইসলামি সংস্কৃতি ও শিল্পকলার নানা ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। বিশেষ করে মুসলিম শিশু-কিশোর ও যুব সমাজের একটি বড় অংশ ইসলামি শিল্পকলা ও সাংস্কৃ তিক ঐতিহ্য সম্পর্কে অনবহিতো। অপরদিকে সমকালীন যুগে বিশেষ কিছু মহল থেকে ইসলামি জীবন ব্যবস্থাকে অসহিষ্ণুরূপে তুলে ধরা হচ্ছে, যা ইসলাম সম্পর্কে নবপ্রজন্মের কাছে ভুল বার্তা প্রদান করে। প্রকৃতপক্ষে ইসলাম মানুষকে শান্তি ও কল্যাণের পথে আহ্বান করে। ইসলামের আগমনই হয়েছে মানুষকে জাহেলিয়্যাতের ভ্রান্ত ধ্যান-ধারণা ও অভিশপ্ত জীবনাচার থেকে মুক্ত করে সত্য-সুন্দর ও কল্যাণের পথে পরিচালনা করার জন্য। সুতরাং ইসলামি শিক্ষা ও জীবনদর্শন বিশ্বমানবতার জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ হতে এক বড় নেয়ামত। ইসলামি শিল্পকলা ইসলামি জীবন দর্শনের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। ইসলামি ক্যালিগ্রাফি ইসলামি শিল্পকলারই একটি বিশেষ শাখা, যা মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানবিক মূল্যবোধ ও সুস্থ সংস্কৃতির ধারা অব্যাহতো রাখার প্রয়াস হিসেবে এ বইটি রচনা ও সংকলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
Title | : | ইসলামি ক্যালিগ্রাফির বিকাশধারা |
Author | : | ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহমান |
Publisher | : | একাডেমিয়া পাবলিশিং হাউজ লি. |
ISBN | : | 9789843574213 |
Edition | : | 1st Published, 2025 |
Number of Pages | : | 300 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহমান। ডাকনাম ফাহিম। তিনি একজন ফার্মাসিস্ট, শিক্ষক ও গবেষক। জন্ম ১৯৮৫ সালের ২৪ অগাস্ট কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার কাজিহাটি গ্রামে। পিতা মো. আব্দুল কুদ্দুছ, মাতা রাশিদা খাতুন। শৈশব কেটেছে গ্রামে। পড়াশোনা শুরু করেছেন গ্রামের স্কুলে। গ্রাম থেকে প্রাইমারি পড়া শেষ করে ক্লাস সিক্সে ভর্তি হন কিশোরগঞ্জ সরকারি বালকউচ্চ বিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে এখান থেকেই এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। সে বছর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে কিশোরগঞ্জ জেলায় সর্বাধিক মার্কধারী হিসেবে পান ‘রায় সাহেব স্বর্ণপদক’। ২০০২ সালে গুরুদয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ থেকে ২০০৬ সালে স্নাতক এবং ফার্মাসিওটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগ থেকে ২০০৭ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৮ সালে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে পরবর্তীতে উক্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে মনবুকাগাকাশো বৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষার্থে জাপান যান এবং সেখানে শিজুওকা ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘অটোফেজি’। বর্তমানে তিনি আমেরিকার জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির পোস্ট-ডক্টরাল গবেষক। লেখকের স্ত্রী তানবিরা শারমিনও একজন ফার্মাসিস্ট। ছেলে আরহামকে নিয়ে তারা বসবাস করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায়। লেখক ওষুধ এবং বিজ্ঞানের নানা বিষয় নিয়ে নিয়মিত লিখেন দৈনিক পত্রিকাগুলোতে। এ পর্যন্ত তার ৯টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ‘ওষুধের যথাযথ ব্যবহার’, ‘ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া’ ‘বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রোজার স্বাস্থ্যগত গুরুত্ব’, ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষা’ এবং ‘আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা’ উল্লেখযোগ্য।
If you found any incorrect information please report us