তাফহীমুল কুরআন ১৯ খন্ডে সেট ৩য় খন্ড (হার্ডকভার)
তাফহীমুল কুরআন ১৯ খন্ডে সেট ৩য় খন্ড (হার্ডকভার)
৳ ১৮৮   ৳ ১৬০
১৫% ছাড়
Quantity  

৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়;  ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER

একাডেমিক বইয়ে ১০% পর্যন্ত  ছাড়

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

আল কুরআন আল্লাহর কিতাব। শেষ নবী মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি তিনি এ কিতাব নাযিল করেছেন। এ গ্রন্থে তিনি গোটা মানব জাতির দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের পথনির্দেশ করেছেন। মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগের হেদায়াত এ গ্রন্থে রয়েছে। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ব পরিচালনার বিধান এতে রয়েছে। স্রষ্টা ও সৃষ্টির সম্পর্কের সূত্র এতে বর্ণিত হয়েছে। সকল বিষয়ে বিশদ অথবা মৌলিক কথা এতে বলে দেয়া হয়েছে। এ গ্রন্থে মানবতার মুক্তির চাবিকাঠি। এটি মু’মিনের গাইড বুক। এর তিলাওয়াত মু’মিনের মনে প্রশান্তি এনে দেয়। এর বিধান মু’মিনকে পরিচালিত করে জান্নাতের পথে। সেই প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত আল কুরআনের অসংখ্য তাফসীর হয়েছে। হয়েছে শত শত ভাষায় ছোট এবং বড় আকারে। আল্লাহর কিতাব প্রত্যেক যুগেই সর্বাধুনিক গ্রন্থ। এর মধ্যে প্রাচীনত্ব নেই। আছে কেবল অভিনবত্ব। কিন্তু মানব সমাজে যুগের পর যুগ আসে এবং প্রতিটি নতুন যুগ পূর্ববর্তী যুগকে প্রাচীনের মধ্যে শামিল করে দেয়, তাই প্রতিটি যুগেই যুগ পরিবেশের আলোকে আল কুরআনের ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা অপরিহার্য। হয়েছেও তাই। সাহাবায়ে কিরামের যুগ থেকে এ যাবত আল কুরআনের অসংখ্য তাফসীর লেখা হয়েছে এবং হচ্ছে। এ কালের মানুষের জন্যে সর্বাধিক উপযোগী তাফসীর লিখেছেন মাওলানা সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী (র)। আধুনিককালের তত্ত্ব ও তথ্যাবলীকে তিনি বিশ্লেষণ করেছেন আল কুরআনের নিরিখে। হাজারো জ্ঞানের সমাহার তাঁর তাফসীর তাফহীমুল কুরআন। এ কালের বিখ্যাত এ তাফসীর তিনি লিখেছেন উর্দু ভাষায়। কয়েক ডজন ভাষায় তা অনূদিত হয়েছে। হয়েছে বাংলা ভাষাতেও। বাংলা ভাষার বিদগ্ধ পাঠক মহলে তাঁর এ তাফসীর অত্যন্ত জনপ্রিয়। মাওলানা তাঁর এ তাফসীরে তাওহীদ, রিসালাত, আখিরাত, ইবাদাত, নৈতিকতা, ব্যক্তিগত ও পারস্পরিক সম্পর্ক, দাম্পত্য জীবন, সামাজিক আচার-আচরণ, অর্থনীতি, রাজনীতি, আইন ও বিচারনীতিসহ পার্থিব ও পারলৌকিক জীবন ধারার যুগোপযোগী বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেছেন। এ তাফসীর সীরাত ও সুন্নাতে রাসূলের যেন এক মূর্ত প্রতিচ্ছবি। মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগ পরিচালনার নির্দেশনা রয়েছে আল কুরআনে। মাওলানা কুরআনের যাবতীয় মৌলিক নির্দেশনাকে সীরাতে রাসূল, সাহাবায়ে কিরামের জীবন ধারা ও আধুনিককালের বাস্তবতা বিশ্লেষণের ভিত্তিতে পেশ করেছেন চমৎকারভাবে। তাই পার্থিব ও পারলৌকিক জীবনের প্রায় সকল দিকের নির্দেশনাই এ তাফসীরে রয়েছে।

Title : তাফহীমুল কুরআন ১৯ খন্ডে সেট ৩য় খন্ড
Author : সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী
Publisher : আধুনিক প্রকাশনী
Edition : 31th Edition, 2024
Number of Pages : 141
Country : Bangladesh
Language : Bengali

বিংশ শতাব্দীতে এ উপমহাদেশে সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী (র) (২৫ সেপ্টেম্বর ১৯০৩ - ২২ সেপ্টেম্বের ১৯৭৯ ছিলেন একাধারে প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ, দার্শনি, মুসলিম গবেষক , রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক এবং সমাজ সংস্কারক । তিনি মাওলানা মওদুদী, আবার আরব বিশ্বে শাইখ সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী নামেও পরিচিত। তিনি উপমহাদেশের প্রাচীনতম জনপ্রিয় দল জামায়াতে ইসলামী নামক একটি ইসলামী রাজনৈতিক দলেরও প্রতিষ্ঠাতা।তিনি ছিলেন ২০ শতাব্দীর সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিম স্কলারদের মধ্যে একজন।তিনি ইতিহাসের দ্বিতীয় এবং সর্বশেষ ব্যক্তি যাহার গায়েবানা জানাজার নামাজ পবিত্র কাবাতে পড়া হয়। মাওলানা মওদুদীর প্রভাব ছিল ব্যাপক। ইতিহাসবেত্তা ফিলিপ জেনকিন্সের মতে, মিসরের হাসান আল বান্না এবং সাইয়েদ কুতুব তার বই পড়ে অনুপ্রাণিত হন। সাইয়িদ কুতব তার কাছ থেকে আদর্শ গ্রহণ করেন এবং এটি আরো সম্প্রসারিত করেন। তিনি একটি অগ্রগামী ইসলামী বিপ্লবী দল গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থী জুরিস্ট আবদুল্লাহ আযযামও তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। দক্ষিণ-এশীয় জনগন (বিরাট সংখ্যক ব্রিটেন প্রবাসী সহ) মাওলানা মওদুদীর দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছেন। এমনকি শিয়া অধ্যুষিত ইরানেও মওদুদীর বড় ধরণের প্রভাব আছে। ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ্ খোমেনী ১৯৬৩ সালে মাওলানা মওদুদীর সাথে সাক্ষাত করেন, পরবর্তীতে ইমাম খোমেনী মওদুদীর বইগুলো ফার্সি ভাষায় অনুবাদ করেন। এখনো পর্যন্ত প্রায়শঃই ইরানের ইসলামী সরকার মাওলানা মওদুদীর কর্মপন্থা অনুসরন করে থাকে। ইমাম ইবনে তাইমিয়ার পর তিনি (মওদুদী) দ্বিতীয় চিন্তাবিদ যিনি আধুনিক বিশ্বে ইসলামী রাজনৈতিক চিন্তাধারা-কে প্রভাবিত করেছেন। কাতারের প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার বিশ্ব ওলামা পরিষদের প্রধান আল্লামা ইউসুফ আল কারাদাবী লিখেছেন- ১৩৯৯ হিজরীর যিলকদ মাসের শুরুতে ২৩ শে সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ ইং বিশ্ব একজন অসাধারণ ইসলামিক চিন্তাবিদকে হারাল। যার মত লোক মুসলিম জাতির ইতিহাসে খুব কমই আসে। তিনি হচ্ছেন ভারত উপমহাদেশের জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা , পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের জন্য আলোকবর্তিকা, লক্ষ্য লক্ষ্য মুসলিম যুবক ও প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা যার লেখনী থেকে উপকৃত হয়েছে বহু ভাষায় অনুদিত হওয়া প্রচুর গ্রন্থ ও প্রবন্ধ রচয়িতা- উসতাজ আবুল আ'লা মওদুদী। ওমর তিলমেসানী, মাওলানা মওদুদী ও হাসানুল বান্নার মাঝে তুলনা করতে গিয়ে বলেছেন: তারা উভয়েই ছিলেন এ প্রজন্মের অনন্য ইমাম তথা নেতা বা পথপ্রদর্শক। আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের পদ্ধতি ও সিস্টেম ছিল এমন যে, তারা সর্বদা কুরআন ও হাদীস থেকেই মেটেরিয়াল গ্রহণ করতেন। কোন ফিলোসোফারের কাছ থেকে তা গ্রহণ করতেন না। যারা হাসানুল বান্নার উপর আসা নির্যাতন দেখেছেন ঠিক তেমনি মাওলানা মওদুদীর উপরও একই ধরণের অত্যাচার নির্যাতন এসেছে। আমি মাওলানা মওদুদীর মত এমন কোন ব্যক্তিকে জানিনা নতুন একটা মুসলিম প্রজন্মের উপর যার রয়েছে চিন্তা ও কর্মের দিক থেকে অত্যন্ত প্রভাব। তার দাওয়াতি কাজের ভিত্তি ছিল ইলমের উপর এবং তা ছিল রাজনৈতিক আহ্বানের চেয়েও অত্যন্ত গভীর ও শক্তিশালী। তার লেখা যুবকদের আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধারে অত্যন্ত কার্যকর ভুমিকা রেখেছে। তারা (যুবকেরা) বুঝতে সক্ষম হয়েছে যে, ইসলাম সমস্ত যুগের সাথেই তাল মিলিয়ে চলতে পারে। একনজরে মাওলানারা সংক্ষিপ্ত জীবনকালঃ জন্মস্থানঃ আওরঙ্গাবাদ (বর্তমানে মহারাষ্ট্রের মধ্যে), হায়দারাবাদ, ভারত ১৯০৩- জন্ম গ্রহণ করেন। জন্মস্থানঃ আওরঙ্গাবাদ (বর্তমানে মহারাষ্ট্রের মধ্যে), হায়দারাবাদ, ভারত। ১৯১৮- সাংবাদিক হিসেবে 'বিজনোর' (Bijnore) পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। ১৯২০- জবলপুরে 'তাজ' পত্রিকার এডিটর হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯২১- দিল্লিতে মাওলানা আব্দুস সালাম নিয়াজির কাছে আরবি শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯২১- দৈনিক 'মুসলিম' পত্রিকার এডিটর হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯২৫- নয়া দিল্লির 'আল জামিয়াহ' পত্রিকার এডিটর হিসেবে নিয়োগ লাভ। ১৯২৬- দিল্লির 'দারুল উলুম ফতেহপুরি' থেকে 'উলুম-এ-আকালিয়া ওয়া নাকালিয়া' সনদ লাভ করেন। ১৯২৭- 'আল জিহাদ ফিল ইসলাম' নামে জিহাদ বিষয়ক একটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ রচনা শুরু করেন। ১৯২৮- উক্ত প্রতিষ্ঠান (দারুল উলুম ফতেহপুরি) থেকে 'জামে তিরমিযি' এবং 'মুয়াত্তা ইমাম মালিক' সনদ লাভ করেন। ১৯৩০- 'আল জিহাদ ফিল ইসলাম' নামের বিখ্যাত বইটি প্রকাশিত হয়। তখন তার বয়স ২৭ বছর। ১৯৩৩- ভারতের হায়দারাবাদ থেকে 'তরজুমানুল কুরআন' নামক পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন। ১৯৩৭- তার ৩৪ বছর বয়সে, লাহোরে, দক্ষিণ এশিয়ার কিংবদন্তিতুল্য মুসলিম কবি ও দার্শনিক আল্লামা মুহাম্মাদ ইকবালের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয় করিয়ে দেন চৌধুরী নিয়াজ আলী খান। ১৯৩৮- তার ৩৫ বছর বয়সে, হায়দারাবাদ থেকে পাঠানকোটে গমন করেন।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]