
৳ ২৪০ ৳ ১৩২
|
৪৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১১৯৯+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৬৯৯+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER





অপ্রতিরোধ্য দৈত্যের চেহারায় এখন মিডিয়া সমাধানের বর্ণিত পথ
বলা হয়, বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করে তিনটি বিষয়। এক, রাজনীতি, দুই, অর্থনীতি এবং তিন, সংস্কৃতি। আর এই তিনটিকেই নিয়ন্ত্রণ করে মিডিয়া।
মিডিয়া এখন সর্বগ্রাসী। এর আয়তন ও পরিধি বেড়েছে। ধরন পাল্টেছে। সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। একসময় ছিল কেবল প্রিন্ট মিডিয়ায় দাপট। এলো ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেডিও-টিভি এলো। প্রথম দিকে এ দুটি ম' ছিল কেবল সরকারি পর্যায়ে। এখন তো বেসরকারি রেডিও-টি াব দেশ-দুনিয়া।
তবে ইন্টারনেট এসে সা প্রবল প্রতাপে এক অগ্রাখা হাপিয়ে গেল। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে দৈত্যের চেহারায় এখন মিডিয়া। অনলাইন নিউজ পোর্টাল ছাপিয়ে গেল প্রিন্ট মিডিয়াকে। এখন তো অনলাইন টিভি-রেডিওর প্রসার ঘটছে ব্যাপকহারে। অন্যদিকে সামাজিক গণমাধ্যম প্রতিটি শিক্ষিত মানুষকে মিডিয়াকর্মী বানিয়ে তুলেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে গেছে গতানুগতিক সব মিডিয়ার।
মিডিয়ার এই প্রতিরোধ্য প্রভাবটিকে শরীফ মুহাম্মদ উপলব্ধি করেছেন সঠিকভাবে। আর এ কারণেই তাঁর এ গ্রন্থ রচনা। এখন আমরা প্রতিটি মুহূর্তে মিডিয়া দ্বারা প্রভাবিত হই। আন্দোলিত হই। মতামত তৈরিতে মিডিয়ার কার্যকারিতা কেবল তাৎক্ষণিকই নয়, সুদূরপ্রসারী। দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে কাজ করা শরীফ মুহাম্মদ বিষয়টি ভালোভাবেই জানেন। তাই তিনি মিডিয়াকে 'গণবিদ্যালয়' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এই গণরিলালিয়ে প্রতিদিন শিক্ষিত-অশিক্ষিত নানা বয়সী মানুষ পাঠ নিয়েয়ন
শরীফ মুহাম্মদ প্রশ্ন তুলেছেন স্বাদ দের দেশের মিডিয়া থেকে মানুষ কী পাঠ নিচ্ছেন। এটি একটি মৌলিক প্রশ্ন। তিনি তাঁর এ গ্রন্থে এই প্রশ্নের জবাব দেয়ার চেষ্টা করেছেন। একপেশে মিডিয়ার চরিত্রটি তিনি পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন।
আমাদের দেশের মিডিয়া যে দলবাজ তা এখন আর কারো অজানা নয়। বেশিরভাগ মিডিয়াই যে মুসলিমবিদ্বেষী ভূমিকায়-সেটাও এখন সবাই জানেন। কেন মুসলিমবিদ্বেষ, কিভাবে এই বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে-সেটি খুব স্পষ্ট করেই শরীফ মুহাম্মদ বলেছেন। তিনি কেবল সঙ্কটকে সামনে এনে হা-পিত্যেশ করেননি-সমাধানের পথটিও চিহ্নিত করেছেন। এটি এই গ্রন্থের বিশেষত্ব।
শরীফ মুহাম্মদ একজন স্বপ্নবাজ মানুষ। তাঁর স্বপ্নের অনেকখানিই মিডিয়াকেন্দ্রিক। তিনি চান বাংলাদেশের মিডিয়ায় আলেমরা জায়গা করে নিন। সেটি কেন এখনো হয়নি, কিভাবে সেটি সম্ভব-সেই প্রয়োজনীয় কথাগুলোই তিনি তাঁর গ্রন্থে তুলে ধরেছেন।
আমরা মনে করি তাঁর এই স্বপ্ন তরুণ আলেমদের স্পর্শ করবে। চৈতন্য সজাগ করবে। আর একই সঙ্গে মুরুব্বিদের ভাবনার জগৎকে ধাক্কা দেবে। সম্ভবত শরীফ মুহাম্মদও এটিই চেয়েছেন।
আমরাও চাই বাংলাদেশে মিডিয়া প্রতিষ্ঠায় আলেমরা উদ্যোক্তা হয়ে উঠুন। কর্মী হিসেবে নিজেদের জায়গা করে নিন। এতে কেবল উম্মাই উপকৃত হবে তা নয়, জাতি হিসেবে আমরা আরো সুসংহত হব। সামনে এগিয়ে যাব।
সরদার ফরিদ আহমদ
সম্পাদক, নতুন বাত্রী ডটকম
সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন
Title | : | গণমাধ্যমের বিচিত্র ভ্রষ্টাচার |
Author | : | শরীফ মুহাম্মদ |
Publisher | : | রাহনুমা প্রকাশনী |
ISBN | : | 9789849221210 |
Edition | : | 1st Published, 2016 |
Number of Pages | : | 151 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
শরীফ মুহাম্মদ বাংলাদেশের মিডিয়াঙ্গন আলোকিতকারী একজন আলেমে দীন। তিনি বেশ কয়েকটি ছদ্মনামে লেখেন : আবু তাশরীফ, ওয়ারিশ রাব্বানী এবং খসরু খান। জন্ম ১২ নভেম্বর ১৯৭১ সালে, ময়মনসিংহে। তার স্থায়ী ঠিকানা, ১৯ জেল রোড, গলগন্ডা, ময়মনসিংহ। বর্তমানে তিনি বসবাস করছেন পল্লবী, মিরপুর, ঢাকায়। জামিয়া ইসলামিয়া ময়মনসিংহের নুরানি বিভাগে ভর্তি হওয়ার মধ্য দিয়ে পড়াশোনা জীবনের শুরু। এক বছর পড়েছেন কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া ঈদগাহ সংলগ্ন জামিয়া নুরিয়া বাগে জান্নাত মাদরাসায়। ১৯৯২ সালে দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেন জামিয়া কোরআনিয়া, লালবাগ, ঢাকা থেকে। ১৯৯২-৯৩ সালে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান প্রতিষ্ঠিত সপ্তাহিক মুসলিম জাহানে লিখতে শুরু করেন। দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা প্রকাশ হলে সহ-সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। এ ছাড়া তিনি মাসিক আল কাউসারের নির্বাহী সম্পাদক, মাসিক যমযমের সম্পাদক ও সাপ্তাহিক মুসলিম জাহান, মাসিক আল জামেয়া ও বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটনেটের সম্পাদনা বিভাগে কাজ করেছেন। সম্পাদনা করেছেন বেশ কিছু মূল্যবান স্মারকগ্রন্থও। এর মধ্যে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) স্মারকগ্রন্থ, মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.) স্মারকগ্রন্থ এবং আল্লামা গহরপুরী (রহ.) স্মারকগ্রন্থ উল্লেখযোগ্য। ‘সাহাবায়ে কেরামের গল্প’ (১৯৯৬) তার প্রথম বই। প্রকাশিত গ্রন্থ প্রায় ৩০টি। ২০০৯ সালে শিকড় সাহিত্য পুরষ্কার এবং ২০১২ সালে মাসিক আদর্শ নারীপদক লাভ করেন।
If you found any incorrect information please report us