
৳ ২৫০ ৳ ২১৩
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
একাডেমিক বইয়ে ১০% পর্যন্ত ছাড়





একটি বৈঠকি আলোচনার শ্রুতিলেখ্য ‘কন্যার চোখে পুত্রের চোখে’। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম কান্ডারি, স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের জন্মশতবর্ষে ‘ঐতিহ্য’ আয়োজিত এক সভায় শহিদ পিতাকে নিয়ে কথা বলেন কন্যা শারমিন আহমদ এবং পুত্র সোহেল তাজ। সন্তানের নিকট বাবা যে কত বড় আর মহান তার প্রতিচ্ছায়া এখানে বিধৃত হয়েছে। কন্যা এবং পুত্র উভয়েই বাবার জীবনের বিচিত্র দিক তুলে ধরেছেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন পিতা তাজউদ্দীন আহমদের সাহসী ভূমিকার কথা যেমন এসেছে, তেমনি এসেছে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে দেশ গঠনে তার অনবদ্য অবদানের কথা। প্রাসঙ্গিকভাবে এসেছে ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য এবং উন্মোচিত হয়েছে বিতর্কিত ও অমীমাংসিত সত্যের।
ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের অন্যতম দুরভিসন্ধি ছিল ইতিহাসকে বিকৃতি করা এবং নিজেদের মতো ইতিহাসের বয়ান তৈরি করা। তাদের বয়ানে মহান স্বাধীনতার যুদ্ধ হয়ে ওঠে একক ব্যক্তির সাফল্য। অপরাপর ব্যক্তিকে ইচ্ছে করেই খাটো বা নাই করা হয়। মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধ না বলে তারা একক দলের যুদ্ধ হিসেবে বয়ান চালু করে। হাসিনা সরকার তার সময়কালে সর্বত্র শেখ মুজিবের স্তুতিতে মুখর করে রেখেছিল। এতে করে শেখ মুজিবকে আসলে বড় করা হয়নি বরং তাকে খাটো করা হয়েছে; যার জাজ্বল্যমান প্রমাণ ২০২৪-এর ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে প্রকাশ পেয়েছে।
স্বাধীনতাপূর্ব ও স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে মহান রাজনীতিবিদ তাজউদ্দীন আহমদের পূনর্মূল্যায়ন আজ সময়ের দাবি। বইটি নিঃসন্দেহে সেই দাবিরই একটি ফলক। রাষ্ট্রের জন্য যারা ত্যাগ স্বীকার করেন তাদের যদি ভুলে যাওয়া হয়, অবমূল্যায়ন করা হয় তাহলে রাষ্ট্রে নেমে আসে দুর্বিপাক; যা আমরা ইতিহাসে লক্ষ করেছি। তাইতো আমাদের উচিত ত্যাগীর ত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন করা।
Title | : | শতাব্দীর কণ্ঠস্বর তাজউদ্দীন আহমদ : কন্যার চোখে পুত্রের চোখ |
Author | : | শারমিন আহমদ |
Publisher | : | ঐতিহ্য |
Edition | : | 1st Published, 2025 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
তাজউদ্দীন আহমদ ও সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের জ্যৈষ্ঠ কন্যা শারমিন আহমদের জন্ম ঢাকা শহরে। ১৯৮৪ সাল থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী। তিনি ১৯৯০ সালে ওয়াশিংটন ডিসির জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেলোশিপ ও উইমেন্স স্টাডিজ ল্কলারস অ্যাওয়ার্ডসহ উইমেন্স সন্টাডিজে মাস্টার অব আর্টস ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি শিশু শিক্ষার ওপরেও মাসটার্স কোর্স সম্পন্ন করেন। বিশ্বের পেশাজীবী নারীদের অন্যতম বৃহত্তম মানব উন্নয়ন সংগঠন দ্য সোরপটিমিস্ট ইন্টারন্যাশনাল অব দ্য আমেরিকাস, ওয়াশিংটন ডিসি, “আন্তর্জাতিক শুভেচ্ছা ও পারস্পরিক সমঝোতা রচনার ক্ষেত্রে ডিস্টিংশন” অ্যাওয়ার্ড প্ৰদান করে। স্কুলের জন্য কাউনটির মিডিয়া বিশেষজ্ঞ তার প্রথম প্রকাশিত দ্বিভাষিক বই হৃদয়ে রংধনু-দ্য রেইনবো ইন এ হার্ট কে মাধ্যমিক শ্রেণী পর্যন্ত ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ আর্টস কারিকুলামের জন্য উচ্চ অনুমোদনসহ বইটিকে “অসামান্য” ও “ভাল সম্পদ” অভিহিত করেন। সমাজে বিশেষত শিশুকিশোরদের মধ্যে শান্তি শিক্ষা প্রসারের মাধ্যম হিসেবে বইটি বর্তমানে নৃত্যনাট্যে রূপান্তরিত হয়েছে যার নাট্য সংলাপ রচনা এবং সহপ্ৰযোজনা তিনি করেছেন। এই নৃত্যনাট্যটি, ম্যারল্যান্ডের অভিজাত এফ. স্কট ফিটজজেরাল্ড থিয়েটার ও বাংলাদেশের জাতীয় শিল্পকলা একাডেমীতে মঞ্চস্থ হয়ে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে।
If you found any incorrect information please report us